বলা হয় টিনিয়া ভারসিকল. এটি
মেলাফথজিয়া ফারফার নামক এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণ। এ রোগে ঘাড়ে, বুকে,
পিঠে ও শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশে সাদা বা বাদামি গাঢ় বা হালকা ছোট
ছোট দাগের মতো হয়। এসব দাগ নানা আকৃতির হয়। কিনারা সুস্পষ্ট থাকে। ত্বকের
বর্ণ পরিবর্তন ছাড়া এ রোগের সাধারণত অন্য কোনও উপসর্গ থাকে না।
সেতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায় এ ছাত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে কিংবা স্টেরয়েড ট্যাবলেট অধিক সেবনেও ছুলি হতে পারে। এক সঙ্গে অনেকে যেখানে একত্রে থাকে এবং একের জিনিসপত্র অনেকে ব্যবহার করে, সেখানে এই ছত্রাকের সংক্রমণ অনেকের মধ্যে দেখা যায়। যেমন_ সৈনিকদের ব্যারাকে, ডরমিটরি, হোস্টেল ইত্যাদিতে। এক পরিবারের একজনের ছুলি হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।
রোগাক্রান্ত অংশ দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়। তবে প্রয়োজনে সাদা মরা চামড়া পরীক্ষা করলেও ছত্রাক ধরা পড়ে। ছুলির চিকিৎসা বেশিদিন ধরে করতে হয়। ছুলিতে লাগানোর জন্য নানা প্রকার ওষুধ দেয়া হয়। তার মধ্যে সেলসান সালফার ও সেলিসাইলিক এসিডের মিশ্রিত মলম ও প্রপাইলিন গ্লাইকল পানিতে মিশিয়ে দেয়া যায়। অনেক সময় সেলিনিয়াম সমৃদ্ধ সেলসান শ্যাম্পু আক্রান্ত স্থানে লাগাতে দেয়া হয়। মনে রাখতে হবে এই রাসায়নিকটি চোখ ও পেটের জন্য ক্ষতিকর। তাই আক্রান্ত স্থানে ওষুধ বা শ্যাম্পু লাগানোর পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে কিটোকোনাজল ৪০০ মি. গ্রাম একবার দিলেই কাজ হয়।
কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
ষ সেতসেঁতে আরদ্র আবহাওয়ায় পরিচ্ছন্ন থাকুন।
ষ শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থান বারবার ধুয়ে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
ষ অন্যের ব্যবহূত জিনিস ব্যবহার করবেন না। যেমন- তোয়ালে, রুমাল ইত্যাদি।
ষ একই ক্ষুরে মাথা বা দাঁড়ি কামাবেন না।
মূল লেখকঃ
ডা. দিদারুল আহসান
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ, আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা। যুগান্তর ১৪-৮-১০
সেতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায় এ ছাত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে কিংবা স্টেরয়েড ট্যাবলেট অধিক সেবনেও ছুলি হতে পারে। এক সঙ্গে অনেকে যেখানে একত্রে থাকে এবং একের জিনিসপত্র অনেকে ব্যবহার করে, সেখানে এই ছত্রাকের সংক্রমণ অনেকের মধ্যে দেখা যায়। যেমন_ সৈনিকদের ব্যারাকে, ডরমিটরি, হোস্টেল ইত্যাদিতে। এক পরিবারের একজনের ছুলি হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।
রোগাক্রান্ত অংশ দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়। তবে প্রয়োজনে সাদা মরা চামড়া পরীক্ষা করলেও ছত্রাক ধরা পড়ে। ছুলির চিকিৎসা বেশিদিন ধরে করতে হয়। ছুলিতে লাগানোর জন্য নানা প্রকার ওষুধ দেয়া হয়। তার মধ্যে সেলসান সালফার ও সেলিসাইলিক এসিডের মিশ্রিত মলম ও প্রপাইলিন গ্লাইকল পানিতে মিশিয়ে দেয়া যায়। অনেক সময় সেলিনিয়াম সমৃদ্ধ সেলসান শ্যাম্পু আক্রান্ত স্থানে লাগাতে দেয়া হয়। মনে রাখতে হবে এই রাসায়নিকটি চোখ ও পেটের জন্য ক্ষতিকর। তাই আক্রান্ত স্থানে ওষুধ বা শ্যাম্পু লাগানোর পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে কিটোকোনাজল ৪০০ মি. গ্রাম একবার দিলেই কাজ হয়।
কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
ষ সেতসেঁতে আরদ্র আবহাওয়ায় পরিচ্ছন্ন থাকুন।
ষ শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থান বারবার ধুয়ে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
ষ অন্যের ব্যবহূত জিনিস ব্যবহার করবেন না। যেমন- তোয়ালে, রুমাল ইত্যাদি।
ষ একই ক্ষুরে মাথা বা দাঁড়ি কামাবেন না।
মূল লেখকঃ
ডা. দিদারুল আহসান
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ, আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা। যুগান্তর ১৪-৮-১০