ত্বকে সংক্রমণ হলেই অ্যানথ্রাক্স নয়!
ইমপিটিগো ত্বকের রোগটি শিশুদের প্রধানত মুখে হয়। এছাড়া হাত-পায়েও হতে পারে। এতে ত্বকে প্রথমে ফোস্কা পরে, পরবর্তিতে ফোস্কা ফেটে গিয়ে ত্বকের মাঝখানে একটু গর্ত হয়ে কালচে বর্ণ ধারণ করে।
ফারনকল লোমকূপের গোড়ায় হয়। এতে হলুদ বর্ণের ফুসকুড়ি হয় এবং শুকালে কালো বর্ণ ধারণ করে।
ফিক্সড ড্রাগ রিঅ্যাকশন সাধারণত সালফার জাতীয় ওষুধ গ্রহণের কারণে হতে পারে। এছাড়া ডক্সিসাইক্লিন, প্যারাসিটামল ইত্যাদি ওষুধের কারণেও হতে পারে। এতে ত্বক লালচে হয়ে যায়, যাকে ইরাইথেমা বলে এবং বেশিমাত্রায় হলে ত্বকে ফোস্কা পড়ে।
এছাড়া ইকথিমা নামক ত্বকের রোগেও ত্বক কালচে বর্ণ ধারণ করে।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস খেলেই কেবল মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। এতে রক্তযুক্ত পায়খানা বা বমি এবং মুখে বা অন্ত্রে ঘা হতে পারে। এজন্য গরু অসুস্থ সন্দেহ হলে প্রাণী চিকিৎসককে দেখিয়ে ১০-২০ সিসি পটাশিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন দিয়ে গরুকে মেরে ফেলতে হবে। মৃত গরু পলিথিনে পেঁচিয়ে ৬ ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে, ফলে অক্সিজেনের অভাবে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু বা স্পোর বেঁচে থাকতে পারে না।
মনে রাখবেন চারপায়ী জন্তুদের মধ্যে শূকর এবং পাখির মধ্যে শকুনের কখনও অ্যানথ্রাক্স হয় না। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস সিদ্ধ করলেও জীবাণুমুক্ত হয় না।
মূল লেখকঃ অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী, ত্বক ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ। যুগান্তর ২৫-০৯-১০
বিড়াল এর কামড়ে কি কোনো গরুতর সম্যসা হয়
ReplyDelete