Tuesday, May 14, 2013

গর্ভকালীন সময়ে যেসব ওষুধ সেবনে সাবধাণ থাকবেন


একজন নারী যখন গর্ভবতী হন, তখন তাঁর দেহমনে বিরাট একটা পরিবর্তন সূচিত হয়। কারণ, তাঁর ভেতরে বেড়ে উঠছে অনাগত একটি জীবন। তাই গর্ভবতী নারীকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, সামান্য অসতর্কতার ফলে তাঁর কিংবা শিশুটির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা উচিত ওষুধ সেবনে। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে কোনো ওষুধই পারতপক্ষে খাওয়া উচিত নয়। এমনকি ভিটামিন বা আয়রনও নয়। নিচে আমরা কিছু ওষুধের তালিকা তুলে দিলাম, যা গর্ভাবস্থায় কোনো পর্যায়েই খাওয়া উচিত নয়।
অ্যাসপিরিন (ব্যথানাশক): এটি খেলে শিশুর (ডিএফএন, ইকোস্পিরিন) শারীরিক গঠনে অসুবিধা হতে পারে। এটি কার্ভা ইত্যাদি নামে বাজারে পওয়া যায়।
এন্ডোমিথাসিন: আইমেট, ইন্ডোমেট ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। (বাতের জন্য) শিশুর শারীরিক গঠনে অসুবিধা হতে পারে।
ক্লোরোকুইন (ম্যালেরিয়ার ওষুধ): গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে ব্যবহারে শিশু বধির ও বোবা হতে পারে।
ক্লোরামফেনিকল (টাইফয়েডের ওষুধ): শিশুর মৃত্যু ঘটায়।
সালফোনামাইড (ডায়াবেটিসের ওষুধ): এটি খেলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে ইনসুলিন ব্যবহার করা শ্রেয়।
টেট্রাসাইক্লিন: এটি শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্ষতি করে।
কর্টিসোন/প্রেডনিসোলন (স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ): মৃত শিশু জন্ম নেবে।
ইস্ট্রোজেন/স্টিলবেস্টরন (হরমোন-জাতীয় ওষুধ): মেয়েশিশু
হলে ভবিষ্যতে যৌনাঙ্গে ক্যানসার হতে পারে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি (ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল): ভ্রূণের গঠন বিকৃতি করবে।
ভিটামিন-এ: বেশি মাত্রায় ব্যবহারে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
কৃমিনাশক: (যেমন—অ্যালবেন, অ্যালমক্স, আরমক্স ইত্যাদি) গর্ভপাত ঘটানোর আশঙ্কা থাকে।
মেট্রনিডাজল: (যেমন—ফ্লাজিল, ফিলমেট, অ্যামোডিস ইত্যাদি) আমাশয়ের ওষুধ, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস ব্যবহারে শিশুর গঠনে বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
ডায়াজিপাম: (যেমন—সেডিল, রিলাক্সেন ইত্যাদি) ঘুমের ওষুধ, এটি খেলে শিশুর মাংসপেশির দৃঢ়তা থাকবে না। মায়ের স্তন চুষতে পারবে না।
প্রত্যেক গর্ভবতী মা ওষুধের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন; যা আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানের মঙ্গল আনবে।
মূল লেখকঃ এস এম নওশের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। | প্রথম আলো, ৬-১০-২০১০
If You Enjoyed This Post Please Take 5 Seconds To Share It.

0 comments:

Powered by Blogger.