অ্যাসপিরিন (ব্যথানাশক): এটি খেলে শিশুর (ডিএফএন, ইকোস্পিরিন) শারীরিক গঠনে অসুবিধা হতে পারে। এটি কার্ভা ইত্যাদি নামে বাজারে পওয়া যায়।
এন্ডোমিথাসিন: আইমেট, ইন্ডোমেট ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। (বাতের জন্য) শিশুর শারীরিক গঠনে অসুবিধা হতে পারে।
ক্লোরোকুইন (ম্যালেরিয়ার ওষুধ): গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে ব্যবহারে শিশু বধির ও বোবা হতে পারে।
ক্লোরামফেনিকল (টাইফয়েডের ওষুধ): শিশুর মৃত্যু ঘটায়।
সালফোনামাইড (ডায়াবেটিসের ওষুধ): এটি খেলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে ইনসুলিন ব্যবহার করা শ্রেয়।
টেট্রাসাইক্লিন: এটি শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্ষতি করে।
কর্টিসোন/প্রেডনিসোলন (স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ): মৃত শিশু জন্ম নেবে।
ইস্ট্রোজেন/স্টিলবেস্টরন (হরমোন-জাতীয় ওষুধ): মেয়েশিশু
হলে ভবিষ্যতে যৌনাঙ্গে ক্যানসার হতে পারে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি (ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল): ভ্রূণের গঠন বিকৃতি করবে।
ভিটামিন-এ: বেশি মাত্রায় ব্যবহারে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
কৃমিনাশক: (যেমন—অ্যালবেন, অ্যালমক্স, আরমক্স ইত্যাদি) গর্ভপাত ঘটানোর আশঙ্কা থাকে।
মেট্রনিডাজল: (যেমন—ফ্লাজিল, ফিলমেট, অ্যামোডিস ইত্যাদি) আমাশয়ের ওষুধ, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস ব্যবহারে শিশুর গঠনে বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
ডায়াজিপাম: (যেমন—সেডিল, রিলাক্সেন ইত্যাদি) ঘুমের ওষুধ, এটি খেলে শিশুর মাংসপেশির দৃঢ়তা থাকবে না। মায়ের স্তন চুষতে পারবে না।
প্রত্যেক গর্ভবতী মা ওষুধের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন; যা আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানের মঙ্গল আনবে।
মূল লেখকঃ এস এম নওশের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। | প্রথম আলো, ৬-১০-২০১০
0 comments: