আজ আমাদের দেশে রোগ নির্ণয়ে আলল্ট্রাসনোগ্রাম একটা সুপরিচিত নাম। এর বিসতৃতি খুব দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে এর বিসতৃতি ঘটেছে। তবে একটা কথা বলতেই হচ্ছে- বেসরকারীভাবে এর বিসতৃতি সর্বাধিক।
রোগ নির্ণয়ের জন্য সকল পরীক্ষা রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শে করে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে আল্ট্রাসনোগ্রাম সাধারণত তিনটা উপায়ে হয়ে থাকে। তা নিম্মরূপঃ
১। ডাক্তারের পরামর্শমতে
২। ডাক্তার ও রোগীর সম্মতিক্রমে
৩। রোগীর পছন্দমতে
বিভিন্ন কারনে এরকম একটি বাসত্মবতা তৈরী হয়েছে। স্বল্পব্যয়ে স্বল্প সময়ে অনায়াসে রোগ নির্ণয়ের এ পদ্ধতিতে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে। আর জানা মতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এ বিষয়টিকে অবশ্যই পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে হবে। এ প্রক্রিয়া যাতে আরও সুচিন্তিত ও সুশৃংখলভাবে অগ্রসর হয় তার জন্য গর্ভবর্তী মায়েদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নির্দেশনা ও প্রাপ্ত সুবিধাদি নিম্মে বর্ণিত হলঃ
ক) গর্ভধারনের ৯ – ১২ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেঃ
১। গর্ভধারন সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া যায়।
২। ভ্রূণ জীবিত না মৃত নিশ্চিত হওয়া যায়।
৩। ভ্রূণ জরায়ুর মধ্যে না বাইরে নিশ্চিত হওয়া যায়।
৪। গর্ভকালীন সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
৫। জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে কোন টিউমারের উপস্থিতি নির্ধারন করা যায়।
৬। মোলার প্রেগন্যান্সি এবং অনিষিক্ত ডিম্বানু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
খ) গর্ভধারনের ১৮ – ২২ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেঃ
১। গর্ভকালীন সময় নির্ধারন করা যায়।
২। গর্ভে এক বা একাধিক শিশু কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়।
৩। শিশুর জন্মগত অসুবিধা নির্ণয় করা যায়।
৪। গর্ভফুলের অবস্থান নির্ণয় করা যায় এবং পস্নাসেন্টা প্রিভিয়ার (গর্ভফুল জরায়ুর মুখে অবস্থান করলে) ক্ষেত্রে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
গ) গর্ভধারনের ৩২ – ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেঃ
১। গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি কমে যাওয়া বোঝা যায়।
২। শিশুর কোন জন্মগত ত্রুটি নির্ণয় করা যায়।
৩। শিশুর অবস্থান এবং উপস্থাপনা নির্ণয় করা যায়।
৪। ভ্রূণ আবরক পর্দার ভিতর পানির পরিমান নির্ণয় করা যায়।
৫। শিশুর ওজন নির্ণয় করা যায়।
অনেক ডাক্তার মনে করেন স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা অপ্রয়োজনীয়। আবার অনেকে যুক্তি দেখান যে সব গর্ভকালীন অস্বাভাবিকতা ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে না। তাই গর্ভকালীন সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে মনে রাখতে হবে আল্ট্রাসনোগ্রামই গর্ভকালীন সময়ের একমাত্র পরীক্ষা নয়। আর শিশুর লিঙ্গ নির্ধারনের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করার যে ঝোঁক তা সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
মূল লেখকঃ ডাঃ শ্যামল কুমার মজুমদার, জেনারেল প্রাকটিশনার,ফরিদপুর। জনকন্ঠ, ৩০.০৩.১০
গরভা অবসথায় কোন সময় থেকে সহবাস করা উচিত নয়
ReplyDelete
ReplyDeleteরেশমী ভাবী
লজ্জার মাথা খেয়ে ছোটমামা
যুবতীর কাহিনী
কামিনীমামী
চুদাচুদি গল্প
স্যার,আমার মেয়ের বয়স ১৯ মাস ওর এখনও একটা দাতঁ ও উঠে নাই। এছাড়া ওর কোন সমস্যা নেই ও একদম সুস্থ বেবি।ডাঃ দেখাইছি ঔনি কিছু বলতে পারেনা এরকম সমস্যা নাকি ঔনি আর শুনেননি।আমি এখন কি করব বুঝতে পারছিনা । প্লিজ একটা সমাধান দেন। আমার ইমেল:elacorolla@gmail.com
ReplyDeleteগর্ভাবস্থায় কোমড়ে ভীষণ ব্যাথা । সমাধান বলবেন প্লিজ
ReplyDelete